রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাগমারায় হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ইউনিয়নের রায়াপুর এলাকায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাফিনুর নাহারের বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সমর্থকদের ভাষ্য, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাফিনুর নাহার ও তাঁর পরিবারের লোকজন এই হামলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেনের ভাই বাদী হয়ে শাফিনুর নাহারসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি এ ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী শাফিনুর নাহার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় আনোয়ার হোসেন ইউনিয়ন পরিষদে একটি সালিস শেষ করে কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।

সমর্থকগন পাশে বসা
সমর্থকগন পাশে বসা

এ সময় আনোয়ার হোসেন ও তাঁর সমর্থকেরা শাফিনুর নাহারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে তাঁদের গাড়ির গতিরোধ করে শাফিনুর নাহার, তাঁর স্বামী আবদুল বারী এবং তাঁদের দুই মেয়ে ও একজন স্বজন লাঠি দিয়ে তাঁদের এলোপাথাড়িভাবে মারধর করেন। এতে আনোয়ার হোসেনসহ তাঁর দুই সমর্থক আহত হন। এর মধ্যে ওই দুই সমর্থক বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পর গতকাল রাতেই আনোয়ার হোসেনের ভাই কামাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাঁর স্বামী, কন্যাসহ পরিবারের লোকজনদের আসামি করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ক্ষোভে তাঁকে হত্যার জন্য হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভোটাররা ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন, এতে আমার অপরাধ কী! এ রকম জঘন্যতম কাজ করবেন, সেটা ভাবতে পারিনি।’

তবে আবদুল বারী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা কীভাবে হামলা করলেন। ঘটনাটি সাজানো বলে তিনি দাবি করেন।

জানতে চাইলে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।